বিয়ের পর মোটা হচ্ছেন? ওজন কমাতে যা করবেন
না চাইলেও বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ওজন বাড়ে। তবে পুরুষের বাড়তি ওজন খুব বেশি চোখে পড়ে না। কিন্তু স্ত্রীর ক্ষেত্রে তার উল্টোটা হয়। হঠাৎ কেন ওজন বৃদ্ধি হয় তার কারণ খুঁজলে বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে আসবে। যেমন, বিয়ের পর নারীদের পরিবর্তিত খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন অনিয়মের কারণ ইত্যাদি।
ওজন ঠিক রাখতে জেনে নিই কার্যকরী টিপস-
- বিয়ের পর খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসে খুব বেশি পরিবর্তন করা যাবে না। সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলতে হবে। রাতের খাবার দ্রুত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন বি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। নতুন পরিবেশ, নতুন দায়িত্ব নেয়ার প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগান দেবে এই ভিটামিন বি।
- জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধ বাদ দিয়ে অন্য কোনও ব্যবস্থা নিন।
- ডায়েটিশিয়ান দেখিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন এবং ঝটপট ওজন কমাতে সেটা মেনে চলুন।
- গৃহবধূ হলে ঘরে পরিশ্রমের কাজ করার চেষ্টা করুন। বসে থেকে আলসেমি ধরতে দেবেন না।
- শরীরে ক্যালসিয়াম কমলে মোটা হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। সেজন্য চা, কফি খাওয়া একটু কমিয়ে দেওয়া ভালো। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে ভুলবেন না।
- যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, প্রতিদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট শরীরচর্চার জন্য নির্ধারণ করুন।
- বিয়ের পর নানা জায়গায় পার্টি, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরিটা অনেকটা বেড়ে যায়, অনিয়ম হয় প্রচুর। এই অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করতে জানতে হবে।
সূত্র- জি নিউজ
জিএ
মন্তব্য করুন
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভূতের সিনেমা!
সিনেমা দেখতে কে না ভালোবাসে। অনেকের কাছেই আবার ভূতের সিনেমা প্রিয়। অনেকে আবার সহ্য করতে পারেন না বলে দেখেন না। তারা মনে করেন, অতিরিক্ত ভয়ের সিনেমা মানসিক অত্যাচার। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, ভূতের সিনেমা আসলে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
লকডাউনের উদ্বিগ্ন আর একাকী দিনগুলোতে মানুষের হরর বা ভৌতিক সিনেমা দেখার প্রবণতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়ে গিয়েছিল। এমনকি স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত ২০১১ সালের প্যান্ডেমিক থ্রিলার ছবি ‘কনটাজিয়ন’ ছিল ২০২০ সালের সবচেয়ে বেশি দেখা মুভিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটা নিয়ে বেশ কিছু সংবাদও দেখা গেছে। মানুষ যখন ইতোমধ্যে এক ভীতিকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে বাস করছে, তখন কেনই বা তারা আবার সেই ভয়ের বিষয়গুলোই ঘাটছে?
সম্প্রতি একদল গবেষক এমনটাই দাবি করেছে। তাদের মতে, টেনশন আর ভয় থেকে মুক্ত হতে হলে ভূতের সিনেমা দেখা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি-
ভূতের সিনেমা দেখলে মানুষের মনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরও সচেতন হয়ে ওঠে। আচমকা রিল লাইফের প্রেতাত্মার চিৎকারে আপনিও হয়তো বার বার সোফা কিংবা বিছানায় লাফিয়ে ওঠেন। এতে কিন্তু প্রচুর ক্যালোরি বার্ন হয়।
গবেষকদের দাবি, একটি ভূতুড়ে সিনেমা দেখা প্রায় ৩০ মিনিট হাঁটার সমান। ভয়ের সিনেমা আপনাকে দুশ্চিন্তামুক্ত করে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। সিনেমার ভয়ে আপনি এতটাই মশগুল হয়ে যান যে তখন বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলি ছোট মনে হয়।
ধরুন ‘রাগিনী এমএমএস’ কিংবা ‘এভিল ডেড’ দেখতে বসেছেন। এই সময় আপনার মস্তিষ্ক কিন্তু সবচেয়ে বেশি সজাগ থাকবে। ফলে মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। আপনার মস্তিষ্ক বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করবে।
গবেষণায় দেখা যায়, ভয়ের সিনেমা দেখার সময় নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই প্রচুর পরিমাণে অ্যাড্রিনালিন রাশ হয়। এর ফলে রক্তে শ্বেতকণিকার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, স্বেচ্ছায় হরর বিনোদন বেছে নিলে ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে পালানোর প্রবণতা কমে। নিরাপদ পরিবেশে কৃত্রিম ভয় তৈরির মাধ্যমে হরর ফিকশন দর্শকদের আবেগ ও মানসিক স্থিতি নিয়ন্ত্রণ চর্চার সুযোগ করে দেয়। ফলস্বরূপ মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়তে দেখা যায়।
অন্যভাবে বললে, হরর ছবি ভয় তৈরি করে না, বরং ভয় প্রশমিত করে।
প্রত্যেক মানুষের মধ্যে প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়ার শক্তি থাকে। তবে দৈনন্দিন জীবনে তা সূপ্ত অবস্থাতেই থেকে যায়। ভৌতিক সিনেমা এই প্রতিভাকে জাগ্রত করে।
ব্যক্তিগত জীবনে সুখ নেই, অফিসে শান্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে ভয়ের সিনেমা দেখার চাইতে ভালো আর কিছুই হতে পারে না। কারণ ভয় এতটাই তীব্র অনুভূতি যে তা অন্যান্য ভালো-মন্দ গুলোকে জীবনে গৌণ করে দেয়।
আরটিভি/এফআই
শীতকালে বারান্দার বাগানে যে ফুল গাছগুলো লাগাতে পারেন
শহরজুড়ে এখন শীতের মৌসুম। শীতে ফোটে বাহারি সব ফুল। উত্তুরে হাওয়ায় ভেসে যাওয়ার আগে বাড়ির বারান্দা রঙিন হওয়া চাই। বারান্দায় অনেকেই ফুলের বাগান তৈরি করেছেন। তবে শীতে সে বাগান রঙিন ফুলে ভরে উঠুক, সেটাই চাইছেন মনে মনে। তবে কোন ফুলগাছের চারা লাগাবেন বুঝতে পারছেন না? ঘরের বারান্দায়ই শীতকালীন ফুলের হাসি ছড়াতে রইল কয়েকটির হদিস।
অর্কিড: অর্কিড ফুলপ্রেমী মানুষের কাছে বিশেষ আকর্ষণের। এবং শীতকালে রংবেরঙের অর্কিড আপনার বাগানকে উজ্জ্বল করে রাখতে পারে। শুধু দরকার অল্প একটু দেখাশোনার। শীতের মাসগুলোতে বেশির ভাগ অর্কিডই তাদের বৃদ্ধিকে শ্লথ করে দেয়, এমনকি সুপ্ত অবস্থায়ও চলে যায়। তাই প্রতি সপ্তাহে পানি দেওয়ার পরিবর্তে শীতকালে প্রতি ১০ দিন অন্তর অর্কিডগুলোকে পানি দেওয়াই ভালো।
পিটুনিয়া: শীতের দেশের ফুল হলেও পিটুনিয়া এখন উপযুক্ত তদারকিতে এ দেশের আবহাওয়াতেও ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। নানা রঙের এক ঝাঁক পেটুনিয়া শুধু যে আপনার বারান্দা বা ছাদের ধারকে আকর্ষণীয় করে তুলবে, তা ই নয়, মন ভালো রাখতেও এই ফুলের জুড়ি মেলা ভার।
গাঁদাফুল: এই গাঁদাফুল বাগানে রাখা কিন্তু মোটেই সহজ নয়। তবে শহরে যারা ফুলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান এবং ফুলগাছের যত্ন করতে পারেন, নিজের ছাদবাগানে বা বারান্দায় তারা লাগিয়ে ফেলতেই পারেন হলুদ, কমলা, সাদা বিভিন্ন রঙের গাঁদা ফুল।
আরও যত ফুল: চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, অ্যাস্টার, ডেইজি, কসমস, সিলভিয়া, অ্যান্টিরিনাম, ন্যাস্টারশিয়াম, প্যানজি, ডায়ান্থাস, ফ্লক্স, ভারবেরা, কারনেশান, পপি, সূর্যমুখী, পর্টুলেকা, ক্যালেন্ডুলা, হলিহক, সুইট পি, অ্যাজালিয়া, জারবেরা, গ্ল্যাডিওলাস এমনকি গোলাপকেও শীতের ফুলের সঙ্গী করতে পারেন।
গ্রিলের জন্য: বারান্দা সাধারণত ছোটই হয়। তাই একটু বেশি ফুলের সান্নিধ্য পেতে চাইলে গ্রিলে বা ওয়ালে কিছু গাছ ঝুলিয়ে দিতে পারেন। পিটুনিয়া, ন্যাস্টারশিয়াস, অ্যাস্টার, ভারবেনা ফুল ঝোলানোর জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক। বারান্দার গ্রিলে এ সময় কিছু গাছ লতিয়ে দিতে পারেন। এ জন্য নীলমণি লতা, মর্নিং গ্লোরি, রেল লতা, সুইট পি বেছে নিতে পারেন।
টবের জন্য: টবের জন্য বেশি সুবিধাজনক ফুলগাছের মধ্যে রয়েছে গাদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, জারবেরা, কারনেশান, ক্যালেন্ডুলা, অ্যাস্টার ইত্যাদি। গাছ তো চেনা হলো, এবার ইচ্ছামতো এসব গাছ টব, গ্রিল বা ঝুলন্ত টবে লাগিয়ে বারান্দায় সাজিয়ে নিন। টবে গাছ লাগানোর সুবিধাও আছে। এতে ইচ্ছামতো অদলবদল ঘটিয়ে বাগানটা সাজিয়ে নেওয়া যায়। গাছের জন্য মাটির পাত্রের টব সবচেয়ে ভালো। কারণ এগুলো অতিরিক্ত পানি শোষণ করতে পারে, প্রয়োজনে সেই পানি শিকড়ের কাজে লাগে। তবে প্লাস্টিক, সিরামিক কিংবা অন্যান্য পাত্রও ব্যবহার করতে পারেন।
যত্ন নেবেন যেভাবে:
বারান্দায় রোদ কম পড়লে সপ্তাহে দুদিন গাছগুলোকে ছাদে বা বাইরে রোদে দিন। রোদ পেলে দ্রুত গাছে ফুল আসে। পুষ্টির জন্য সরিষার খৈল কয়েক দিন একটি পাত্রে ভিজিয়ে রেখে তা গুলে মাসে দুবার গাছের গোড়ায় দিন।
গাছের গোড়া ভেজা থাকলে পানি দেওয়ার দরকার নেই। দুই সপ্তাহ পর পর গাছের গোড়ার মাটি হালকা নিংড়িয়ে দিন। নিয়মিত গাছে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত পানি স্প্রে করুন। এতে গাছে পিঁপড়া, মিলিবাগ ও অন্যান্য পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে।
আরটিভি/এফআই
উৎসবে সহজে ঘর সাজানোর টিপস
উৎসব মানেই বাড়িতে অতিথিদের আনাগোনা। এ সময় বন্ধু-বান্ধব থেকে আত্মীয়দের ঠিকমতো আপ্যায়ন করতে প্রয়োজন হয় অনেকখানি জায়গার। আর একদিন পরেই কালীপূজা। উৎসবের সময় শেষ মুহূর্তে তাই কম খরচে অন্দরমহলকে অন্য রকমভাবে সাজিয়ে তুলতে রইল কিছু নজরকাড়া টিপস।
ঘর রং: এখন বাজারে বা অনলাইনে রংবাহারি জিনিসপত্র রয়রছে। যা দিয়ে খুব সহজে আপনি নিজের ঘর নিজেই রং করে ফেলতে পারবেন। যে কোনও হাল্কা শেড যেমন প্যাস্টেল হলুদ বা গোলাপি রঙ করে নিতে পারেন ঘরে। এতে ঘর উজ্জ্বল, বড় ও খোলামেলা দেখাবে, পাল্টে যাবে তার আমেজও।
লাইটস: উৎসব মানেই কিন্তু আলোর রোশনাই। কালীপূজা বলে কথা, লাইটস ছাড়া তো কোনও কথাই হবে না। এখন বাজার-হাটে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের লাইটস পাওয়া যায়। বেডরুমে বিভিন্ন ধরণের টুনি বা ল্যাম্পশেড রাখতেই পারেন। এছাড়াও ব্যালকনিতে নানা রকমের লাইটস দিয়ে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস: অপ্রয়োজনীয় ঘর সাজানোর জিনিসপত্র, আসবাব ইত্যাদি ঘরে থাকলে অযথা জায়গার অপচয় হয়। পূজার আগে বসার ঘরে জায়গা বাড়াতে সরিয়ে ফেলতে পারেন ভারী কাঠের আসবাব কিম্বা জমকালো কাজের একাধিক ঘর সাজানোর জিনিস। পরিবর্তে ব্যবহার করে দেখতে পারেন হাল্কা রঙের চাদর, কুশন কভার। টানা বড় দেওয়ালে টাঙাতে পারেন একটি মাত্র বড় পেন্টিং কিংবা হাতের করা কোনও ওয়াল হ্যাঙ্গিং।
আরটিভি/এফআই
আজ ‘ভূত দিবস’
হ্যালোইন ডে’র কথা নিশ্চয়ই শুনেছেন। আজ সেই দিন। অল সোলস ডে। ভূতেদের দিন। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে পালিত হয় দিবসটি। তবে পশ্চিমা বিশ্বে জাঁকজমকতার সঙ্গে পালন করা হয় হ্যালোইন। অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই আসলে কী এই হ্যালোইন!
জানলে অবাক হবেন, এই ভুতুড়ে উৎসবের ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। অনেকেই ভাবেন, এ দিনটি হয়তো ভূতের মতো সাজতেই পালন করা হয়। আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণে পালন করা হয় দিনটি। হ্যালোইন ডে’র ইতিহাস জানলে আপনি চমকে উঠবেন!
হ্যালোইন শব্দের উৎপত্তি ১৭৪৫ সালের দিকে। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে এর উৎপত্তি। হ্যালোইন’ বা ‘হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ ‘শোধিত সন্ধ্যা বা পবিত্র সন্ধ্যা’।
সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোজ’ ও ‘ইভ’ শব্দটি এক সময় ‘হ্যালোইন’এ রূপান্তরিত হয়। হ্যালোইন উৎসবের মূল থিম হলো, ‘হাস্যরস ও উপহাসের মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতার মুখমুখি হওয়া’।
প্রায় ২০০০ বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতো কেল্টিক জাতি। নভেম্বরের প্রথম দিনটি তারা নববর্ষ বা ‘সাহ-উইন’ হিসেবে পালন করতো। গ্রীষ্মের শেষ ও অন্ধকার বা শীতের শুরু বলে মনে করতো তারা।
অবাক করা বিষয় হলো, কেল্টিক জাতির ধারণা ছিলো অক্টোবরের শেষ দিনের রাত সবচেয়ে খারাপ। যে রাতে সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মারা মানুষের ক্ষতি করতে পারে। আর তাই কেল্টিক জাতির সদস্যরা এই রাতে বিভিন্ন ধরনের ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরতো।
তারা নির্ঘুম রাত কাটাতে আগুন জ্বালিয়ে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে একসঙ্গে ঘুরতেন ও মন্ত্র যপতেন। আর সময়ের পরিক্রমায় কেল্টিক জাতির ‘সাহ-উইন’ উৎসবই বর্তমানে ‘হ্যালোইন’ উৎসব হিসেবে পালিত হচ্ছে। হ্যালোইনের রাত নিয়ে অনেক ধরনের মিথ আছে।
তেমনই এক প্রচলিত মিথ হলো, এই রাতে দেবতা সামান সব মৃত আত্মাদের পৃথিবীতে আহ্বান জানান। উড়ন্ত ঝাড়ুতে করে হ্যালোইন ডাইনি উড়ে বেড়ায় আকাশ জুড়ে। কখনো বা তিনি কড়া নাড়েন বিভিন্ন বাড়ির দরজায়।
কবে থেকে শুরু হয়েছে হ্যালোইন?
জানা যায়, মধ্যযুগ থেকেই হ্যালোইন উৎসব পালিত হয়ে আসছে। আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ডের উচ্চ ভূমি ও ফ্রান্সের উওর অংশ জুড়ে তখন কেল্টিক সভ্যতার বিস্তার ছিলো। প্রাচীন কেল্টদের পালিত ‘সাহ উইন’ উৎসব থেকেই মূলত হ্যালোইনের সূত্রপাত।
১৮০০ দশকের শেষের দিকে আমেরিকায় হ্যালোইন ছুটির দিনে পরিণত হয়। শতাব্দীর শুরুতেই শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক সবাই ঘটা করে হ্যালোইন উদযাপন শুরু করে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান, খেলাধুলা, মৌসুমী খাবার ও উৎসবমুখর পোশাক পরা হতো।
কেল্টদের বছর শুরু হতো নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে। গ্রীষ্ম ও ফসলী মাসের শেষ ও শীতের শুরু। কেল্টদের বিশ্বাস ছিলো, নতুন বছর শুরু হওয়ার আগের রাতে জীবিত ও মৃতের দুনিয়ার মধ্যকার ফারাক কেটে যায়। সেসময় মৃত আত্মা ও ভূত-প্রেত পৃথিবীতে আসে। তাই ৩১ রাতে অক্টোবর মৃত স্বজনদের অাত্মার সঙ্গে মিলনের কামনায় তারা সামহাইন উৎসব পালন করতো।
পরবর্তীতে এ ভূত উৎসবে খ্রিস্টান ধর্মেরও প্রভাব পড়ে। বিশ্বব্যাপী ১ নভেম্বরকে ‘অল সেইন্টস ডে’ ঘোষণা করা হয় ও এর আগের সন্ধ্যা মানে ৩১ অক্টোবরকে ‘অল-হ্যালোস-ইভ’ বা হ্যালোইন হিসেবে পালিত হয়।
উনিশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে আমেরিকায় জাতীয়ভাবে হ্যালোইন ডে পালিত হতে থাকে। ১৯২০ থেকে ১৯৫০ সালের ভেতর পুরো আমেরিকায় হ্যালোইন ডে’র আনুষ্ঠানিকতা বাড়তে থাকে। পরে দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। এদিন সবাই ভূতের সাজে নিজেকে সাজায়। অনেকের মতে, এসময় সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে যায় বিদেহী আত্মারাও।
এ দিনটিকে ঘিরে পুরো অক্টোবর মাসব্যাপী চলে আয়োজনের ঘনঘটা। কুমড়োর লণ্ঠন তৈরি, বাড়িঘর-রাজপথ সাজানো ও চকলেট-পেস্ট্রি তৈরিতে ব্যস্ত থাকে আয়োজকরা। বর্তমানে আমেরিকায় হ্যালোইন ডে’র বাণিজ্যিক গুরুত্বও রয়েছে। দেশটি প্রতিবছর হ্যালোইন ডে উৎসবে খরচ করে প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এফআই
ভৌতিক সাজ-পোশাকে সেরা হ্যালোইন পার্টি হয় যে দেশগুলোতে
কিম্ভূত কিমাকার সাজ-পোশাক পরে, মুখে রং মেখে কার্যত ভূত, পেত্নি, ড্রাকুলা সেজে হ্যালোইন উদযাপন করার দিন আজকে। শুধু তাই নয়, হ্যালোইন উপলক্ষে আয়োজন করা হয় জমকালো পার্টিরও। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বর্তমানে পালিত হয় দিবসটি। হ্যালোইন পার্টিতে থাকে নির্দিষ্ট ড্রেস কোড। সাধারণ ভদ্র-সভ্যভাবে পার্টিতে প্রবেশ করা যায় না। ঢুকতে হবে ভূত-পেত্নি সেজে। পার্টির খাবার এবং সাজসজ্জাতেও ভৌতিক প্রভাব স্পষ্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিশ্বের কোন জায়গাগুলোতে হাড় হিম করা আসল হ্যালোইন পার্টি হয় উদযাপন করা হয়।
দেখে নেওয়া যাক কারা কীভাবে পালন করে এই দিন—
মেক্সিকো ও স্পেন: এই দিনের নাম দিয়া দে লোস মুয়েরতোস অর্থাত্ ডে অফ দ্য ডেড। নভেম্বর মাসের ১ ও ২ তারিখে পালিত হয় মৃতদের দিন। প্রতি পরিবার প্রিয়জনদের সমাধিক্ষেত্রে শ্রদ্ধা জানানোর পর মেতে ওঠে উত্সবে। ম্যাকাব্রেলি প্যারেড, কঙ্কালের সাজে উত্সব পালন করে লাতিন বিশ্ব। প্রায় হাজার বছরের পুরনো এই রেওয়াজ।
তেঙ্গ চেইহ: চিনে এই উত্সবের নাম তেঙ্গ চেইহ। তবে অক্টোবর/নভেম্বর মাসে নয়। চাইনিজ বছরের শেষে পালিত হয় তেঙ্গ চেইহ। এই উত্সবকে লন্ঠন উত্সবও বলা হয়। বিভিন্ন পশুপাখির আকারে তৈরি করা হয় লন্ঠন। সেই লন্ঠন জালিয়েই দূর করা হয় অশুভ শক্তি।
জাপান: জাপানে এই উত্সবকে বলা হয় ফেস্টিভ্যাল অফ হাঙ্গরি গোস্টস। সারা গরমকাল জুরে জাপানে পালিত হয় ওবোন ফেস্টিভ্যাল। সারারাত ধরে আগুন জালিয়ে রাখেন জাপানিরা। রাস্তায় যেখানে সেখানে লাল লন্ঠন সত্যিই দেখার মতো দৃশ্য তৈরি করে।
অস্ট্রিয়া: ৩০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বরের মধ্যে পালিত হয় অল সোলস উইক। অস্ট্রিয়ানরা একে বলে সেলিনোচে। এই সময় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে টেবিলের ওপর রুটি, পানি ও ল্যাম্প রেখে ঘুমোতে যান অস্ট্রিয়াবাসী। ১ নভেম্বরের সন্ধেবেলা পালন করা হয় অল সেন্টস ডে। এই দিন পুরো পরিবার একসঙ্গে সমাধিক্ষেত্রে প্রিয়জনদের জন্য প্রার্থনা করেন।
জার্মানি: হ্যালোউইনের রাতে ছুরি, কাঁচি সব লুকিয়ে রাখেন জার্মানরা। বার্লিনের হ্যালোউইন কস্টিউম পার্টি খুবই জনপ্রিয়।
চেক রিপাবলিক: একটু অন্যভাবে হ্যালোউইনের রাতে ফায়ারপ্লেসের পাশে পরিবারের প্রতি মৃত সদস্যের জন্য চেয়ার সাজিয়ে রাখেন চেকরা।
ভারত: ভারতে কালীপূজা, অর্থাত্ দীপান্বিতা অমাবস্যার আগের রাতে পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। চোদ্দ পুরুষের উদ্দেশে এ দিন সারারাত জ্বালানো হয় ১৪টি প্রদীপ। খাওয়া হয় ১৪ শাকও।
আরটিভি/এফআই
ঘরোয়াভাবে সহজেই রসমালাই তৈরির রেসিপি
উৎসব কিংবা বিশেষ দিনে মিষ্টিমুখ করা চাই। বাড়িতে অতিথি এলে নানারকম মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। আর রসমালাইয়ের নাম শুনলে জিভে জল চলে আসে অনেকেরই। চমৎকার স্বাদের এই মিষ্টি আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই বানাতে পারেন। তবে আর দেরি কেন! চলুন ঝটপট জেনে নেই রসমালাই তৈরির রেসিপি।
উপকরণ—
ছানার জন্য: ঘন দুধ- ২ লিটার চিনি – ২ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার- ১/৪ কাপ, সিরার জন্য, চিনি-২ কাপ, পানি-৪ কাপ, লেবুর রস বা ভিনেগার ১/৪ কাপ
মালাই/রস-এর জন্য: দুধ/ ঘন দুধ- ১ লিটার, চিনি- ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়া
মিষ্টির জন্য: ময়দা ১/২ টেবিল চামচ, বেকিং পাউডার- ১/৪ চা চামচ, সুজি – ১ চা চামচ
মিষ্টির তৈরির পদ্ধতি:
প্রথমে ছানা তৈরির জন্য দুধ একবার জ্বাল দেওয়া হয়ে গেলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ১ মিনিটের মত রেখে একটা পাতলা কাপড়ে পানি ঝরাতে দিতে হবে, সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পানি দিতে হবে। ভালো করে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন।
একটি বড় থালায় ছানাটা ভালো করে হাত দিয়ে মেখে নিতে হবে, যেন জমাট বেঁধে না থাকে। তারপর ময়দা, সুজি, বেকিং পাউডার ও চিনি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এবার দু’হাতের তালু দিয়ে গোল করে ছোট ছোট আকারের মিষ্টি বানান।
পাশাপাশি একটি হাড়িতে সিরার জন্য পানি ও চিনি ফোটাতে দিন। পানি ফুটে উঠলে লেবুর রস বা ভিনেগার দিয়ে ছোট ছোট মিষ্টিগুলো হাড়িতে দিয়ে ঢেকে দিন। এলাচ দিয়ে ২০ থেকে ২৫ মিনিট এর মত ফুটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন যেন বেশি সিদ্ধ হয়ে ভেঙে না যায়।
মালাই তৈরির পদ্ধতি:
অন্য একটি ননস্টিক পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে থাকুন, মাঝারি আঁচে নেড়ে নেড়ে দুধ আরও ঘন করুন, দুধ অর্ধেক হয়ে আসা পর্যন্ত এমনভাবে নাড়ুন যেন নিচে লেগে না যায় এবং সর হয়ে না যায়। এরপর চিনি ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে দিন। রস ঠান্ডা করুন, তারপর মিষ্টিগুলো সিরা থেকে তুলে রসে মেশান। পুরোপুরি ঠান্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে আরো ঠান্ডা করুন। পরিবেশনের আগে পেস্তা ও বাদাম কুচি করে দিন।
আরটিভি/এফআই
খোসাসহ শসা খেলে যে উপকার পাবেন
প্রতিদিনের খাবারে সালাদ হিসেবেই শসার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। তবে খাবারের সাথে অনুষঙ্গ হিসেবে শসার কদর বেশি হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে শসা মোটেও পিছিয়ে নেই। শসা সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য উপাদান। সবজি হিসেবে ভাবা হলেও শসা আসলে একটি ফল। এটি উপকারী পুষ্টিতে উচ্চ গুণমান থাকায় এটিকে ফলের আসনে গুরুত্ব দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট উদ্ভিদ যৌগ থাকায় ও অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কারণে চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ বিষয়ে শসাকে আদর্শ হিসেবে গণ্য করা হয়। শসাতে ক্যালরি কম থাকে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার থাকে; যা দেহকে হাইড্রেডেট রাখে, ফলে পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি দেয়।
পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে শসা হতে পারে উপকারী খাদ্য। এটি প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এছাড়াও যারা ওজন কমাতে চান, তারা শসা খেতে পারেন। শরীরের ওজন হ্রাস করতে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এ ছাড়া শসায় পানির পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ফলে নিয়মিত শসা খেলে শরীরে পানির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হবে। তাই সুস্থ থাকতে হলে শসা খাওয়া ছাড়া যাবে না।
শসার উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবার ধারণা থাকলেও, অনেকেই জানেন না শসার খোসার উপকারিতা সম্পর্কে। ভ্রান্ত ধারণার ফলে অনেকেই ভাবেন শসার খোসা ক্ষতিকর। যে কারণে সালাদ কিংবা রান্নায় ব্যবহারের আগে শসার খোসা ফেলে দেন। অথচ বাস্তবচিত্র একেবারেই উল্টো। শসার মতোই দারুণ স্বাস্থ্যকর ও উপকারী শসার খোসাও। তাই শসা খেতে হবে খোসাসহ।
জেনে নিন শসার খোসার চমৎকার কিছু উপকারিতা—
শরীরে পানিশূন্যতা কমায়: পানি আপনার শরীরকে কার্যকর রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং বর্জ্য ও পুষ্টি পরিবহনের মতো প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকে। শরীরে পানির সঠিক মাত্রা শারীরিক কর্মক্ষমতা থেকে বিপাক পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করতে পারে। আপনি পানি বা অন্যান্য তরল যেমন জুস বা চা দ্বারা আপনার তরল চাহিদার পূরণ করেন তখন আপনি পানি বহনের জন্য কতটুকু পানি পান করবেন, তার একটি মাত্রা থাকে। কিছু মানুষ তাদের মোট পানি গ্রহণের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন খাবার থেকে পেতে পারে। যেহেতু শসা প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি দ্বারা গঠিত, তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর এবং প্রাত্যহিক চাহিদা অনুযায়ী পানি পান না করেও দিনে একটি বা দুটি শসা খেয়ে প্রতিদিনের তরল চাহিদা মেটানো সম্ভব।
চোখের সমস্যা দূর করে: দারুণ এ বিষয়টি সম্পর্কে খুব কম মানুষই অবগত। শসার খোসা হলো ভিটামিন-এ-এর (বেটা-ক্যারটিন) বড় উৎস। চোখের স্বাস্থ্য ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন-এ ভীষণ জরুরি। তবে শসার খোসা ফেলে দিলে ভিটামিন-এ আর অবশিষ্ট থাকে না।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যা কমায়: বিব্রতকর এ সমস্যার ক্ষেত্রে ত্রাতা হিসেবে কাজ করবে খোসাসহ শসা। শসার খোসাতে রয়েছে অদ্রবণীয় আঁশ। অন্যদিকে শসার ভেতরের নরম অংশে থাকে দ্রবণীয় আঁশ। উভয় প্রকৃতির আঁশ মলকে নরম করতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে চমৎকার কার্যকরি।
মেদ ও চর্বি কমাবে: হুটহাট ক্ষুধাভাব খুব জ্বালায়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক টুকরা খোসাসহ শসা খেয়ে ফেলতে হবে। খোসাসহ শসায় কোনো ক্যালরি নেই বললেই চলে। ক্যালরি কম হলেও ক্ষুধার প্রকোপ কমাতে শসা বেশ কার্যকর। তাই ক্ষুধা পেলেই নিশ্চিন্তে খেয়ে নিতে হবে ছোট একটি খোসাসহ শসা।
ভিটামিন ‘কে’-এর অন্যতম উৎস: রক্ত জমাট বাঁধতে ভিটামিন ‘কে’ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যা পাওয়া যাবে শসার খোসাতে। এছাড়াও ভিটামিন ‘কে’ হাড়ের পুষ্টিতে, মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও নির্দিষ্ট ধরণের কিছু ক্যানসারর প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে: ত্বকের জন্য ভিটামিন-সি অনন্য। ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ ড্যামেজ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে এবং ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া প্রতিরোধে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও কোলাজেন উৎপাদনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। শসাতে নয়, শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণে উপকারী এ উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাই খোসাসহ শসা খেলে ত্বকের বয়সের ছাপকে দূরে রাখা সম্ভব হবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, খাওয়ার পূর্বে শসাকে অবশ্যই এক ঘণ্টা লবণ-পানির মিশ্রনে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এতে শসার খোসায় লেগে থাকা জীবাণু, রাসায়নিক ও ফরমালিন দূর হয়ে যাবে।
আরটিভি/এফআই